“লাবণ্যময় ত্বক পেতে ঘরেই সেরে ফেলুন ফ্রুট ফেসিয়াল”

কৃত্রিম পণ্য ব্যবহার করে করে ক্লান্ত? পার্লারে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না? চিন্তার কিছু নেই। ঘরে বসেই ত্বকের ধরন অনুযায়ী করতে পারেন ফ্রুট ফেসিয়াল। এতে সময় ও টাকা দুটোই বাচবে।

হাতের কাছে রয়েছে এমন কিছু ফল দিয়ে তৈরি করা ফেসপ্যাক। যেমন-

কলা

ভিটামিন ও মিনারেলের ভাণ্ডার হচ্ছে কলা। এতে আছে ভিটামিন-সি ও বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম বায়োটিন ইত্যাদি। কলা খেলে যেমন উপকার তেমনি কলার তৈরি ফেসপ্যাকও উপকারি। কলার ভিটামিন ত্বককে কোমল করে। ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে কলা। ঘরে পাকা কলা থাকলে একটি কলা ভাল করে পেস্ট করে তার সাথে এক চা-চামচ মধু অথবা এক চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখে ও গলায় লিগিয়ে ১৫/২০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁপে

সুস্থ সুন্দর ত্বক পেতে প্রতিদিন খেতে পারেন পাঁকা পেঁপে। তবে শুধু খাওয়া নয়; পেঁপে দিয়ে ফেসপ্যাকও বানানো যায়। কারণ এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, ই এবং বিটাক্যারোটিন; যা ত্বকে পুষ্টি যোগায়। ব্রণের উপদ্রব কমাতে এবং ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতেও সাহায্য করে পেঁপে। ত্বকের মৃতকোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতেও পেঁপের তুলনা নেই।

আপেল

আপেল যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি কিন্তু এর উপকারিতাও অনেক। রূপচর্চায় চাইলে আপেল কাজে লাগাতে পারেন।
আপেলের রস ত্বকে ব্যাবহার করা যায়। এর সঙ্গে মধু অথবা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে মুখের সৌন্দর্য বাড়ে। ত্বক হয় লাবণ্যময়।

কমলা

কমলাতে আছে প্রচুর ভিটামিন-সি, বিটাক্যারোটিন, ফলিক এসিড, ফসফরাস ও আয়রন। এসব উপাদান ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া কমলার খোসা শুকিয়ে গুড়ো করে ব্যবহার করা যায়। কমলার খোসা ত্বকের কমনীয়তা রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি ত্বকে তেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং ত্বককে মসৃণ, নরম করে। তবে তাজা কমলার খোসা কিন্তু সরাসরি ত্বকে লাগানো ঠিক নয়।
তাজা কমলার খোসার সাথে যোগ করতে হবে মুসুরের ডাল বাটা। মুসুর ডাল বাটা ও কমলার খোসা ভালো করে মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগালে ত্বক মসৃণ ও নরম হয়। এতে মুখের দাগও দূর হয়।

টমেটো

ত্বকে পুষ্টি যোগাতেও সাহায্য করে টমেটো। রোদে পোড়া কালোভাব দূর করতে এর রস খুবই কার্যকর। টমেটোতে আছে কয়েক ধরনের ভিটামিন। শুষ্ক সময়ে ত্বক আদ্র রাখতে চাইলে টমেটোর রস মুখে ও ঘাড়ে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দারুণ কাজ দেয় এটি। চাইলে ক্লিনজার হিসেবেও টমেটো ব্যবহার করা যায়। টমেটোর রসের সাথে মধু, গ্লিসারিন ও লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করা যায় ফেসপ্যাক। মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ২-৩ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এসব ফল ছাড়াও তরমুজ, বাঙ্গি, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি ইত্যাদি দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো যায়।

Leave a Reply