পৃথিবীর প্রথম গেমিং ট্যাবলেট

আমরা গেমার রা রেজর ব্রান্ড টিকে তো খুব ভালমতন চিনি তার হাই কোয়ালিটি প্রোডাক্ট এর জন্যই। তবে এবার রেজর এমন একটি ট্যাবলেট নিয়ে এসেছে যাকে বলা হচ্ছে, “পৃথিবীর প্রথম ট্যাবলেট, যা ডিজাইন করা হয়েছে কম্পিউটার গেমার দের জন্য”। আবার বলা হচ্ছে, “আল্টিমেট গেমিং ট্যাবলেট”।
আর সি-নেট এটাকে বলছে, “দ্যা সুইস আর্মি গেমিং ট্যাবলেট”।

সাধারন ট্যাবলেট বলতে আমরা বুঝি, ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ এর পরিবর্তে ব্যবহৃত এমন একটি ডিভাইস যা একই সাথে আপনার ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ এর কাজ তো করবেই সাথে সাথে আপনাকে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা দিবে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বহনযোগ্যতা।

ব্যবহারকারীর সকল চাহিদার কথা মাথায় রেখেই রেজার এজ প্রো ট্যাবলেট টিকে বাজারে এনেছে। শুধুমাত্র সাধারন ব্যবহারকারীর কথাই নয়, বরংচ গেমারদের কথা বিশেষ ভাবে রেজর চিন্তা করেছে, আর তাইতো ইন্তেল এর গ্রাফিক্স এইচডি এর উপরে নির্ভর না করে এতে ব্যবহার করা হয়েছে এনভিডিয়ার জিটি ৬৪০ LT গ্রাফিক্স প্রসেসর। এছাড়াও চার টি ভিন্ন ভিন্ন মোডে আপনি রেজার এজ প্রো ট্যাবলেট টি ব্যবহার করতে পারবেন;

ট্যাবলেট মোডঃ

সাধারন ট্যাবলেট এর মতন করে।

কীবোর্ড মোডঃ

কীবোর্ড ডক এর মাধ্যে আপনি আপনার ট্যাবলেট টি কে বসিয়ে সহজেই একে একটি মিনি ল্যাপটপ বানিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, কীবোর্ড ডক টিকে আপনার আলাদা ভাবে কিনে নিতে হবে।

গেমপ্যাড কন্ট্রোলারঃ

পৃথিবীর একমাত্র ট্যাবলেট, যাতে আপনি গেমিং কন্ট্রোলার ব্যবহার করতে পারবেন, তবে, এ ক্ষেত্রে আপনাকে রেজর এর নিজস্ব কন্ট্রোলার টিকেই কিনতে হবে।

ডক ষ্টেশনঃ

ডক ষ্টেশন ব্যবহার করে আপনি রেজার এজ প্রো ট্যাবলেট টি কে আপনার হোম থিয়েটার এর সাথে যুক্ত করে নিতে পারেন। এছাড়াও রেজর এর অন্যান্য প্রোডাক্ট, যেমন কনসোল, কীবোর্ড, মাউস এবং হেড ফোন ইত্যাদি কে সংযুক্ত করা সম্ভব।

চলুন দেখে নেই রেজার এজ প্রো ট্যাবলেট এর স্পেসিফিক্যাশন টিঃ
ডিসপ্লেঃ ১০.১ ইঞ্চি , ১৩৬৬ x ৭৬৮ টাচ স্ক্রীন।
প্রসেসরঃ তৃতীয় প্রজন্মের কোর আই ৭, ১.৯৩ গিগাহার্জ প্রসেসর (3517U)
র্যা মঃ ৮ গিগাবাইট, ১৬০০ মেগাহার্জ, ডিডিআর ৩ এসডির্যা ম।
গ্রাফিক্স প্রসেসরঃ এনভিডিয়া জি-ফোর্স জিটি ৬৪০ এম (LE)– ২ গিগাবাইট ভিডিও র্যা ম।
স্টোরেজঃ ২৫৬ গিগাবাইট এসএসডি (সলিড ষ্টেট ড্রাইভ)
নেটওয়ার্কঃ ৮০২.১১- বি/জি/এন ওয়ারলেস, ব্লু-টুথ ৪.০
অপারেটিং সিস্টেমঃ উইন্ডোজ ৮ (৬৪ বিট)
ওজনঃ ২.১ পউন্ড, ৪.১৬ পাউন্ড (গেম প্যাড সহ) এবং ৪.৮২ পাউন্ড গেমপ্যাড এবং চার্জার সহ।
মাপঃ ৭ x ১১ x ০.৭৫ ইঞ্চি

দাম এবং পার্থক্যঃ
দুটি ভার্সন আছে ট্যাবলেট টির, একটির দাম ১,৪৪৯ ডলার (১,১৫,৯২০ টাকা)অন্যটির দাম, ৯৯৯ ডলার (৭৯,৯২০ টাকা)
ভিন্ন ভিন্ন দামে রেজার এজ প্রো ট্যাবলেট টি বাজারে ছাড়া হয়েছে। ১,৪৪৯ ডলারের ট্যাবলেট টিতে আছে, কোর আই ৭ (3517U) ১.৯ গিগাহার্জ এর প্রসেসর যা টার্বো মোডে ৩.০ গিগাহার্জ পর্যন্ত উঠতে পারে। সাথে থাকছে, ৮ গিগাবাইটের র্যা ম, এনভিডিয়া জি-ফোর্স জিটি ৬৪০ এম (LE)– ২ গিগাবাইট ভিডিও র্যাএম, এবং ২৫৬ গিগাবাইট এসএসডি (সলিড ষ্টেট ড্রাইভ)। অন্য দিকে ৯৯৯ ডলারের ট্যাবলেট টিতে থাকছে, কোর আই ৫ (3317U) ১.৭ গিগাহার্জ এর প্রসেসর যা টার্বো মোডে ২.৬ গিগাহার্জ পর্যন্ত উঠতে পারে। সাথে থাকছে, ৪ গিগাবাইটের র্যারম, এনভিডিয়া জি-ফোর্স জিটি ৬৪০ এম (LE)– ১ গিগাবাইট ভিডিও র্যারম, এবং ৬৪ গিগাবাইট এসএসডি (সলিড ষ্টেট ড্রাইভ)।

সবকিছুরই ভাল মন্দ আছে, তেমন ভাবে রেজার এজ প্রো ট্যাবলেট টিরও কিছু ভাল-মন্দ আছে; একনজরে তাই দেখে নেই;
ভালঃ বেশ কিছু আলাদা অ্যাক্সেসরিজ দিয়ে আপনি বিভিন্ন ভাবে ট্যাবলেট টিতে গেম খেলতে পারবেন, আর ইন্টেল এর প্রসেসর সাথে এনভিদিয়ার গ্রাফিক্স প্রসেসর এর সমন্বয়ে এবং উইন্ডোজ ৮ এর গেমিং অপটিমাইজেশন এর ফলে তো অসাধারন হয়ে উঠেছে ট্যাবলেট টি।
মন্দঃ দামের তুলনায় পারফর্মেন্স যথেষ্ট নয়। যদিও রেজার এজ প্রো ট্যাবলেট টির সমপরিমান দামে আপনি অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার কিনতে পারবেন, তবে বহনযোগ্যতার কথা যদি বলি, আপনি কিন্তু এর থেকেও কম দামে অনেক উচ্চ ক্ষমতার ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।

Leave a Reply