জীবন বদলাতে যে ৫টি বই না পড়লেই নয়

মানুষের সব সময়ের সঙ্গী হওয়া উচিত বই। আর কিছু বই রয়েছে যা সবার জন্য পড়া একান্ত জরুরি। এখানে এমন ৫টি বইয়ের পরিচয় তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞ এরিক বারকার, যা পড়লে আপনার জীবনটাই বদলে যাবে। জেনে নিন বইগুলোর কথা।
১. ৫৯ সেকেন্ডস : চেঞ্জ ইওর লাইফ আন্ডার আ মিনিট : মনোবিজ্ঞানী রিচার্ড ওয়াইজম্যান তার সূক্ষ্ম গবেষণার নানা দিক তুলে ধরেছেন এই বইয়ে। বইটি পড়লে জানতে পারবেন কীভাবে জীবনটাকে আনন্দের সঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
যা শিখবেন : এক টন বিষয় শিখতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে-
ডেটিংয়ের সময় দারুণ একটি মুভি পছন্দ করা,
দীর্ঘমেয়াদে লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে চিন্তায় ডুব দেওয়া,
হাস্য-কৌতুক ও অন্যান্য বিষয়ে মাধ্যমে স্ট্রেস দূর করা,
এ ছাড়া আরো বহু বিষয় যা পড়লেই শিখতে পারবেন।
২. ক্রিয়েটিভিটি : এই বইয়ের পেছনে বিস্তর খেটেছেন লেখক প্রফেসর মিহালি সিকজেন্তমিহালায়ি। তিনি বিশ্বের আলোড়ন তোলা ৯১ জন ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এদের ১৪ জন আবার নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব। এ মানুষগুলোর সৃষ্টিশীলতার খুঁটিনাটি উঠে এসেছে বইটিতে।
যা শিখবেন : এই তারকারা কিন্তু স্কুলের সবচেয়ে ভালো শিক্ষার্থী ছিলেন না। এদের প্রায় সবার আইকিউ ১৩০ এর কোঠা ছাড়াতে পারেনি। তবে যখন ছাড়িয়েছে, তখন তারা এমন কিছু সৃষ্টি করেছেন যা আলো ছড়িয়েছে। তাদের আগ্রহ এবং অনুভূতি কীভাবে কাজ করেছে তার খবর এখানেই পাবেন।
৩. মাইন্ডলেস ইটিং : হোয়াই উই ইট মোর দ্যান ইউ থিঙ্ক : ব্রায়ান ওয়ানসিঙ্ক চারপাশের মানুষের আচরণ আর খাবার নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার কাজটি যে বিস্ময়কর তা বইটি পড়লেই বোঝা যাবে। মানুষ খায় নানা কারণে। ক্ষুধা এদের মধ্যে একটি কারণমাত্র।
যা শিখবেন : কিছু বিষয় শিখবেন যা কাজে লাগবে। যেমন-
একটি পেপার প্লেটে পরিবেশিত ডেজার্টের চেয়ে চায়না প্লেটে পরিবেশিত একই ডেজার্ট বেশি মজা লাগবে।
বড় আকারের পাত্রে বেশি পরিমাণ খাবেন আপনি।
একই খাবার ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে আসলে তার স্বাদেও ভিন্নতা পাওয়া যায়।
এ ছাড়া আরো অনেক না জানা বিষয় তো রয়েছেই।
৪. পাওয়ার : হোয়াই সাম পিপল হ্যাভ ইট অ্যান্ড আদারস ডোন্ট : অফিস রাজনীতি কীভাবে কাজ করে? এখানে আরো ভালো খেলতে চান? তাহলে এই বইটি পড়তে হবে। ম্যাকিয়াভেলির ‘দ্য প্রিন্স’ এর নব্য সংস্করণ বলা যায় বইটিকে। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির মৌলিক বিষয় থেকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বহু গবেষণার সংগ্রহ পাবেন বইটিতে।
যা শিখবেন : পেশা ও ব্যক্তিজীবনে পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে মানিয়ে চলার বহু কৌশল শিখতে পারবেন এ বই থেকে। অন্যদের মাঝে নিজেকে আর দুর্বল মনে হবে না এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন সহজেই।
৫. লিটল বেটস : হাউ ব্রেকথ্রু আইডিয়াস ইমারজ ফ্রম স্মল ডিসকভারিস : জীবনে বড় কিছুর উদ্ভাবন এবং সৃষ্টির জন্য ঝুঁকি না নিয়েও কি এগিয়ে যাওয়া যায়? এ প্রশ্নের জবাবের সঙ্গে সঙ্গে পথ দেখাবে বইটি। লেখক পিটার সিমস বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে ঝুঁকিহীনভাবে বড় বড় কাজ করার বৈজ্ঞানিক উপায় তুলে ধরেছেন।
যা শিখবেন : জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে যেকোনো কাজে এই বই থেকে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগাতে পারবেন। বইটি পড়লেই আপনার কাছে কঠিনতম কাজটিও সহজ মনে হবে। তাই পড়ে ফেলাটা জরুরি।

Leave a Reply