বসার ঘরের দারুণ সাজ !

বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে বসার ঘরই যেন বেশি উপযোগী। শহুরে ছোট্ট কুটিরেও এই মানানকে অবহেলা করা হয় না। ফ্লাটের আকার যাই হোক বসার ঘর থাকা চাই-ই। উৎসবের দিনে তার ব্যবহার বেড়ে যায় কয়েকগুন। বসার ঘরের বহুল ব্যবহার যেমন স্বীকৃত তেমন জরুরি তার সাজ-সজ্জা। এবারের পূজায় অতিথি আপ্যায়নে মনের মতো করে সাজিয়ে নিন আপনার বসার ঘরটি। তাই আসুন বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে বসার ঘরই যেন বেশি উপযোগী। শহুরে ছোট্ট কুটিরেও এই মানানকে অবহেলা করা হয় না। ফ্লাটের আকার যাই হোক বসার ঘর থাকা চাই-ইজেনে নেয় বসার ঘর সাজানোর নানা ধরণ।

অতিথির বসার জন্য এই ঘরের বিকল্প নেই। পরিবারের সবাই অবসরে বসে টিভি দেখে, বই পড়ে, গান শুনে বা বিশ্রামের জন্য কিছুটা সময় কাটায় এই বসার ঘরে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বসার ঘরটি থাকে থাকে খোলা, অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো দরজা থাকে না। তাই সাজানোটা নির্ভর করে ঘরের কোন অংশে এর অবস্থান তার ওপর।

বাসার মাঝখানে হলে দুই পাশে কম উচ্চতার সোফা এবং এক কোণে টিভি রাখতে পারেন। চাইলে কার্পেট, শতরঞ্জি বা শীতলপাটি দিয়ে ফ্লোরিংও করতে পারেন। এর ওপর ছোট-বড় কয়েকটি রঙিন কুশন দিন। সঙ্গে রাখুন কিছু ইনডোর প্লান্ট।

বসার ঘর অন্যান্য ঘরের কর্ণারে হলে একপাশে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ডিনার ওয়াগন, ওভেন ইত্যাদি রাখুন। এগুলো সবারই প্রয়োজন। আর একপাশে ইচ্ছামতো বসার ব্যবস্থা করে টিভি রাখুন। লো হাইট সোফা বা ফ্লোরিংয়ের সঙ্গে কয়েকটি মোড়া বা টুলও রাখতে পারেন। দুই সোফার মাঝে রাখতে পারেন ল্যাম্প শেড। তার ভেতরে ইচ্ছামতো রঙের বাতি। রাতে সেটা জেলে দিলে জমকালো আবহ সৃষ্টি করবে।

ঘরটি একটু বড় হলে দেয়ালজুড়ে একটা বইয়ের তাক বানাতে পারেন। টিভি দেখার পাশাপাশি অবসরে বই পড়ার চমৎকার জায়গা হতে পারে এটি। ঘরে বাচ্চা থাকলে একটি কর্নার সাজাতে পারেন তার জন্য। ছোট আকারে তৈরি করুন একটি খেলাঘর, সেখানে রাখুন পুতুল, গাড়ি, ছোট একটি টেবিল, ছবি আকার সরঞ্জাম ইত্যাদি। সামনের দেয়লটি সাজাতে পারেন বিভিন্ন কার্টুন চরিত্র মিকি মাউস, সিনড্রেলা, ডোরেমন এবং অ্যানিমেশন ছবি দিয়ে।

এই ঘরের দেয়ালও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেয়াল সাজাতে পারেন পারিবারিক ছবির ফ্রেম দিয়ে। তবে তা অবশ্যই হতে হবে সবার সম্মিলিত হাসি মাখা মুহূর্তের। পারিবারিক ছবি রাখতে না চাইলে কোনো পেইন্টিং, সিনারি বা ফ্লোরাল ফ্রেম দিয়ে সাজান।

দেয়ালে শোপিস র‌্যাকও রাখতে পারেন। এখানে মনের মতো ইনডোর প্লান্ট আর শোপিস শোভা পেতে পারে। সামর্থের মধ্যে সিলিংএ দিতে পারেন ঝাড় বাতিও। কম খরচে দিতে চাইলে রঙিন হ্যাংগিং বাতি দিতে পারেন। বসার ঘরে ঢোকার দরজায় থাকতে পারে নানা ডিজাইনের দোরঘণ্টি, যা টুংটাং শব্দে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে বেশ পটু।

Leave a Reply