তারুণ্যময় ত্বক থাকুক সবসময়

ত্রিশের পর ধীরে ধীরে আমাদের ত্বকের উজ্জলতা কমতে থাকে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারীর ত্রিশের পর কপালে বলি রেখা, মুখের কালো দাগ, চোখের নীচে কালী সহ চেহারাতে একরকম ক্লান্তির ছাপ চলে আসে। কিন্তু সামান্য পরিকল্পনার মাধ্যমে এই সমস্যার হাতে থেকে রেহাই পেতে পারি এবং ফিরে পেতে পারি তারুন্যভরা উজ্জল ত্বক। আসুন আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা সামান্য পরিবর্তন করি আর উপভোগ করি তারুন্যভরা উজ্জল ত্বক

 

বাদাম: বাদামকে ভিটামিন এবং মোনো আনস্যাটুরেটেড ফ্যাটি এসিডের সঞ্চয়ঘর বলা যায়। আর নষ্ট হয়ে যাওয়া ত্বক মেরামত করার জন্যে এই দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এরা আমাদের ত্বকে এমন একটি মেমব্রেন তৈরী করে যেটা স্বাভাবিক বয়োবৃদ্ধির প্রকোপ থেকে রক্ষা করে ত্বককে।

সবুজ পাতার সবজি: সবুজ সবজি শুধু যে ভিটামিন বি, সি এবং বি১২ এসব পুষ্টির উ্ত্স তাই নয় বরং এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রক্ত পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে।

মাছ: মাছ খাওয়াও ত্বক কে শুস্কতার হাত থেকে রক্ষা করে। মাছের তেল ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে এবং নতুন করে নমনীয়তা পেতে সাহায্য করে। মাছে সবচেয়ে বেশি থাকে ওমেগা-৩ এবং এর প্রোটিন আপনাকে দেবে সুস্থ সুন্দর ত্বক ও চুল।

গম: গম প্রোটিন ভরপুর। এছাড়া রয়েছে মিনারেল এবং ভিটামিন। এসব উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট ভালো রাখে। এর ফলে ভালো থাকবে চুল এবং আকর্ষণীয় মুখ।

গ্রিন টি: কথায় বলে গ্রিন টি হলো অমরত্ব লাভের প্রাকৃতিক উপাদান। এতে যে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে সেটা ম্যাজিকের মতো দুর করে রিঙ্কেলস। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, রক্ত সরবরাহ বাড়াতে এবং দীপ্তিময় ত্বক পেতে দিনে অন্তত দুই কাপ গ্রিন টি খান।

স্ট্রবেরী: যদি এমন প্রাকৃতিক কিছুর খোঁজ চান আপনাকে দিবে পুষ্টি তাহলে চোখ বন্ধ করে বলা যেতে পারে স্ট্রবেরীর কথা। স্ট্রবেরীতে যেমন আপনি ভিটামিন এ, সি এবং ই পাবেন তেমনই পাবেন এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে রাখবে উজ্জ্বল।

জল: পানির অভাবে ত্বকের কোষীয় গঠন ধ্বংস হয়ে যায়, ফলে আপনার ত্বক হয়ে পড়ে নির্জীব। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে আটগ্লাস পানি খেতে চেষ্টা করুন।

Leave a Reply