চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় হেয়ার প্রোটিন ট্রিটমেন্ট

মানুষের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চুল। কিন্তু বাইরের ধুলাবালি, রোদ আর দূষিত আবহাওয়ার কারণে আমরা অনেক সময়ই আমাদের চুলের আসল সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলি। এক্ষেত্রে চুলের যত্নের অংশ হিসেবে প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট অনন্য।

আমরা জানি শরীরের বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন খুবই দরকারী উপাদান। ঠিক তেমনিভাবে চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা অনেক। আমাদের চুল কেরাটিন নামক এক প্রকার প্রোটিন দিয়ে তৈরি। এই কেরাটিনের উপস্থিতির কারণেই আমাদের চুল সুস্থ-সবল থাকে এবং চুলের ইলাস্টিসিটি বজায় থাকে।

বেশি বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে আপনার চুল বৃদ্ধি পাবে। ভেতর থেকে যেমন প্রোটিনের দরকার আছে, তেমনি বাইরে থেকেও প্রোটিন ট্রিটমেন্ট আপনার চুলের সঠিক বৃদ্ধি ঘটিয়ে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে। প্রোটিন ট্রিটমেন্টের প্যাক তৈরি হয় হারবাল উপাদান দিয়ে, যা চুলের গভীরে পৌঁছে চুলে শক্তি জোগায় এবং প্রোটিনকে সংরক্ষণ করে।

 

উপাদান:
ডিম – ২ টি,
অলিভঅয়েল – আধাকাপ
টকদই – আধাকাপ
মধু – আধাকাপ
ভিনেগার – আধাকাপ
পানি – ১ কাপ
ভিটামনি ই ক্যাপসুল (৫০০ মি.গ্রা. সফ্‌ট জেল)- ১ টি

 

পদ্ধতি:
প্রথমে ডিম ভেঙ্গে তার কুসুম বের করুন। এবার ডিমের কুসুম একটি বাটিতে ব্লেন্ড করে নিন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, চুলের সাইজ অনুযায়ী ডিম নেবেন। চুল যদি ছোট সাইজ হয় তবে ডিম একটিই যথেষ্ঠ আর চুল অনেক বেশি লম্বা হলে ডিম ৩টি নিতে পারেন। এবার ডিমের কুসুমের ব্লেন্ড একটু ফেনায়িত হলে তাতে ই-ক্যাপসুল এবং অলিভ অয়েল মেশান। এবার এতে মধু এবং টকদই মিশিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাড়ুন। আপনার প্যাক তৈরি হয়ে গিয়েছে।

চুল

 

চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। চুলে জট থাকলে তা ছাড়িয়ে নিন ভালো করে। এবার প্যাকটি মাথায় খুব ভালো করে লাগান। তুলা অথবা পরিষ্কার ব্রাশ দিয়ে আপনি প্যাকটি লাগাতে পারেন যাতে প্যাকটি আপনার প্রত্যেকটি চুলে পৌঁছায়। এবার চুল অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ঢেকে ১ টি শাওয়ার ক্যাপ পরে প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

 

৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তারপর অবশ্যই ভালো মানের কন্ডিশনার লাগাবেন চুল আরো মসৃণ ও সিল্কি করার জন্য। এরপর শ্যাম্পু করবেন। শ্যাম্পু অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হতে হবে।

 

উপকারিতা:
* চুলের ভেঙে পড়া রোধ হয়, চুলের গঠনকে পুনর্বিন্যাস করে।
* চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
* কোনো ধরনের কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ কালারিং, রিবন্ডিং, স্ট্রেইটনিং, পার্মিং, অতিরিক্ত আয়রনিং, কার্লিং ও বো-ড্রায়িং ইত্যাদির কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হলে মাসে দু-তিনবার বা প্রতি সপ্তাহে একবার করানো যেতে পারে।
* সুন্দর চুল পেতে প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্টের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রপ্ত করতে হবে।

Leave a Reply