কামরাঙ্গার ঝাল আচার

আমরা বাড়িতে নানা ধরনের আচার করে থাকি। অনেকে আবার শখ করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম আচার তৈরি করতে পছন্দ করেন। কারো আবার খাওয়ার সময় একটু আচার না হলেই চলে না। কারণ আচার মুখের রুচি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাছাড়া আচার খেতে সবাই কমবেশি ভালোবাসে।

কামরাঙ্গার ঝাল আচার
উপাদান-
# কামরাঙ্গা ৮০০গ্রাম,
# এক কোয়া বিশিষ্ট রসুন ৫০০ গ্রাম,
# কাঁচামরিচ ২৫০ গ্রাম,
# শুকনা মরিচ ৫ টা,
# সরিষা ৩ টেবিল চামচ,
# জিরা ২ টেবিল চামচ,
# তেজ পাতা ২/৩ টা,
# সিরকা ৩০০ মিলি,
# সরষের তেল ৫০০ মিলি,
# চিনি ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছা), এবং লবণ প্রায় ২ টেবিল চামচ (স্বাদ অনুযায়ী কম বেশী হতে পারে)।

প্রস্তুত প্রণালী-
১। জিরা, সরষে, শুকনা মরিচ আলাদা আলাদা করে বেটে নিন।
২। কামরাঙ্গা ধুয়ে শির ফেলে লম্বালম্বি করে ফালি করে কেটে নিই (মাঝের অংশ বাদ দিয়ে)। দুইটা কামরাঙ্গা চাক চাক করে স্টার বানিয়ে ডেকোরেশনের জন্য কেটে নিই।
৩। লম্বা ফালিগুলি এক ইঞ্চি পরিমাণ করে কেটে নিন।
৪। আস্ত রসুন ধুয়ে ছিলে নিই এবং কাঁচামরিচ ধুয়ে বোটা ফেলে ১ ইঞ্চি পরিমান টুকরো করে কেটে নিন।
৫। এবার কড়াইতে এক কাপ পরিমাণ সরষের তেল দিই, হাল্কা গরম হলে রসুন গুলি ঢেলে দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে রাখি। পাঁচ ছয় মিনিট পরপর নাড়া দিই যেন কড়াইর তলায় লেগে না যায়।
৬। ১৫ মিনিট পরে সিরকা এবং চিনি দিয়ে আরো দশ মিনিট পর লবণ, তেজ পাতা, জিরা, সরষে এবং মরিচ বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করি।
৭। এভাবে মিনিট দশেক মশলা কষিয়ে কামরাঙ্গা দিয়ে আবার ৫ মিনিট হালকা ভাবে নাড়ি। এবার মরিচ দিয়ে দুই এক মিনিট হালকা ভাবে নেড়ে নামিয়ে নিই।
৮। ঠাণ্ডা হলে পরিষ্কার শুকনো কাচের বয়ামে ঢেলে দুই তিন দিন রোদে দিয়ে ঠাণ্ডা হলে মুখ আটকে সংরক্ষণ করি।
৯। মাঝে মাঝে রোদে দিলে ১ বছর এবং ফ্রীজে রাখলে প্রায় ২ বছর সংরক্ষণ করা সম্ভব।

Leave a Reply