আকর্ষনীয় ভ্রু পাওয়ার কিছু পদ্ধতি

চোখের সৌন্দর্য আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় সুন্দর আকারের ঘন ভ্রু। তাই যাদের ভ্রু পাতলা তারা স্বাভাবিক ভাবেই একটু মনোকষ্টে থাকেন। তবে চাইলে ঘরোয়া কিছু চর্চায় ভ্রু পুরু ও ঘন করা যায়।

রূপচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ঘরোয়া ও কৃত্রিমভাবে ভ্রু পুরু ও ঘন করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়।

ঘরোয়া পদ্ধতি

বিভিন্ন ধরনের তেল

অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, নারিকেল তেল ও বাদামের তেলে আছে পুষ্টিকর প্রাকৃতিক উপাদান। প্রতিদিন অলিভ অয়েল দিয়ে মালিশ করলে ভ্রু হবে মোটা ও ঘন। এসব তেলে আছে ভিটামিন-ই যা ব্যবহারে আদ্রতা ঠিক থাকে এবং প্রতিদিন ব্যবহারে ভ্রুর ঘনত্ব বাড়ে।

ভ্যাসলিন

প্রতিদিন ভ্রুসহ-এর আশপাশের জায়গায় দুই থেকে তিনবার ভ্যাসলিন ব্যবহারের ফলে ভ্রুর ঘনত্ব বাড়বে। কেননা ভ্যাসলিন ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রাতের বেলা পুরো ভ্রুতে বা ভ্রু কম আছে এমন জায়গায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে সারারাত রেখে দিলেই ধীরে ধীরে ভ্রুর ঘনত্ব বাড়বে। তবে ভ্যাসলিন লাগিয়ে রোদে বের হওয়া উচিত নয়।

কৃত্রিম পদ্ধতি

আই-পেন্সিল ও পাউডার

পাউডার ব্যবহার করে ইচ্ছে মতো ভ্রু হালকা ও গাঢ় করা যায়। তবে নির্ভর করবে চুলের রং, পোশাক ও কতটুকু পরিমাণ ভ্রুর ঘনত্ব চাচ্ছেন তার উপর।

মেইকআপের সাহায্যে ভ্রু ঘন দেখানোর জন্য লাগবে তিন ধরনের শেইড, ব্রাশ এবং ভ্রু তোলার জন্য ছোট চিমটা বা টোইজার্জ।

ভ্রু ঘন দেখাতে চুলের রং থেকে একটু গাঢ় শেইড ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া ভ্রু স্বাভাবিক ও মনোরম দেখাতে আই শ্যাডোর মতো ভ্রু শ্যাডো দিয়ে ভ্রু ভরাট করে নেওয়া যেতে পারে। তারপর কৌণিক ব্রাশ দিয়ে ভ্রুর উপরে এবং আশপাশে শ্যাডো লাগাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন আই-ভ্রু লাইনের আশপাশে বেশি শ্যাডো না লাগানো হয়।

তবে ভ্রুর আশপাশে যদি কাটাদাগ বা ক্ষত থাকে সেক্ষেত্রে আই-পেন্সিল ব্যবহার করাই ভালো।

কন্ডিশনার ও হেয়ার গ্রোথ পণ্য

বারবার ভ্রু না তুলে ভ্রু’র কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভালো। ভ্রু কন্ডিশনারে থাকা পুষ্টিকর উপাদান এক সপ্তাহে প্লাক করা ভ্রু পুনরায় গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া ভ্রু গজাতে বা ঘন করতে চাইলে ‘হেয়ার গ্রোথ’ পণ্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

Leave a Reply