অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খাওয়ার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো

অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খাওয়ার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো

 

সারারাত এপাশ ওপাশ করে কাটিয়ে দেয়ার চাইতে ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুম দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এমনকি ঘুমের ঔষধের নাম জানা রয়েছে বলে অনেকেই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার প্রয়োজন বোধ করেন না একেবারেই। নিজেই নিজের ডাক্তার হয়ে ফার্মেসীতে গিয়ে ঔষধ কিনে নিয়ে আসেন।

এবং আমাদের দেশের ফার্মেসীগুলোতেও যথারীতি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ঔষধ বিক্রয় করার কারণে ঘুমের ঔষধ কিশোর বয়স থেকে বয়স্ক মানুষ সকলেই খেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন কি এর খারাপ দিকগুলো কতোটা মারাত্মক?

অনেকেই এই সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন না। রাতে একটু ঘুমের আশায় আপনি যে বিষ খেয়ে চলেছেন তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন আমাদের আজকের ফিচারে।

১) নেশাগ্রস্ত হওয়া
আপনি যখন থেকে ঘুমের ঔষধ খাওয়া শুরু করবেন তখন থেকে আপনার দেহ নিজের মধ্যেই একধরণের সহ্য ক্ষমতা তৈরি করে নেবে। অর্থাৎ আপনি যে পাওয়ারের ঔষধ খাওয়া শুরু করেছেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সে পাওয়ারের ঔষধে কোনো কাজই হবে না। বরং আপার দেহ আরও পাওয়ারের ঔষধের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নেবে।

এরপর দেহের স্বাভাবিক হরমোনের সমস্যা দেখা দেবে এবং সেই সাথে আরও নানা সমস্যায় জর্জরিত হবেন আপনি। এক পর্যায়ে ঔষধ ছাড়া ঘুমানোর কথা ভাবতে পারবেন না আপনি। তাই শখ করে ২/১ টি পিল খাওয়া বন্ধ করে দিন। এবং ঘুমাতে সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলুন।

২) ঘোরের মধ্যে থাকা
ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের রিপোর্টে জানা যায় ঘুমের ঔষধের রেশ শুধুমাত্র রাতেই কেটে যায় না। বরং পুরো দিন তন্দ্রাচ্ছন্ন করে রাখে এবং সেই সাথে যারা নিয়মিত ঘুমের ঔষধ খান তারা একধরণের ঘোরের মধ্যে চলে যায়। এটি এক পর্যায়ে মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। সুতরাং সাবধান।

৩) মানসিক সমস্যা ও শারীরিক সমস্যা
দীর্ঘসময় ঘুমের ঔষধ সেবনের ফলে ঘুমের মধ্যে হাটার সমস্যা এবং স্মৃতিভ্রষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও যারা নিয়মিত ঘুমের ঔষধ খান তাদের ব্যবহারে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। অনেকেই আংজাইটিতে ভোগেন এবং খুবই খিটমিটে মেজাজ প্রকাশ করতে থাকেন।

৪) ক্যান্সার ও মৃত্যুর আশংকা
গবেষণায় দেখা যায় যারা ঘুমের ঔষধ সেবন করেন তাদের অন্যান্যদের তুলনায় ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি অনেক বেশী থাকে। ঘুমের ঔষধ অনেকাংশেই দেহে ক্যান্সার কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ঘুমের ঔষধ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারগণ।

Leave a Reply